অবক্ষয়িত, এর স্বাদ হারানো, দুর্গন্ধযুক্ত এবং অশুদ্ধ খাবার, অজ্ঞতা [তামাস] গুণের সাথে যুক্ত।
শ্লোক : 10 / 28
ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
♈
রাশি
কন্যা
✨
নক্ষত্র
হস্তা
🟣
গ্রহ
শনি
⚕️
জীবনের ক্ষেত্র
খাদ্য/পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শৃঙ্খলা/অভ্যাস
এই ভগবদ গীতার স্লোকের ভিত্তিতে, কন্যা রাশি এবং অষ্টম নক্ষত্রযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য খাবার এবং স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শনি গ্রহের প্রভাবের কারণে, তাদের খাবার অভ্যাসে মনোযোগ দিতে হবে। তামোগুণ বৃদ্ধি করে এমন খাবারগুলি এড়িয়ে, পুষ্টিকর এবং পবিত্র খাবার গ্রহণ করা উচিত। এটি তাদের শরীরের স্বাস্থ্য এবং মানসিক অবস্থাকে উন্নত করবে। শৃঙ্খলা এবং অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে, স্বাস্থ্যকর খাবার অভ্যাস সহায়ক হবে। শনি গ্রহের প্রভাবের কারণে, তাদের অলসতা এবং অবহেলা মোকাবেলা করতে, খাবার অভ্যাসগুলি সঠিকভাবে গঠন করা উচিত। এর ফলে, তারা দীর্ঘায়ু এবং স্বাস্থ্যকর জীবন লাভ করতে সক্ষম হবে। খাবার এবং পুষ্টিতে মনোযোগ দিয়ে, তারা তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
এই স্লোকে, ভগবান কৃষ্ণ খাবারের প্রকারভেদ তিনটি গুণের ভিত্তিতে শ্রেণীবদ্ধ করেন। এখানে তিনি তামোগুণযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত খাবার বর্ণনা করছেন। অবক্ষয়িত, দুর্গন্ধযুক্ত, স্বাদহীন এবং অশুদ্ধ খাবার তামাসিক খাবার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এটি শরীর এবং মনের জন্য উপকারী নয় বলে বলা হয়। তামোগুণ বৃদ্ধি করে এমন খাবার গ্রহণের ফলে অলসতা, অবহেলা ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়। এর ফলে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে না। খাবার শরীর এবং মনের উপর প্রভাব ফেলে, তাই আমাদের সঠিক খাবার নির্বাচন করা উচিত।
ভগবদ গীতায় খাবারের গুরুত্ব অত্যন্ত উচ্চারিত। তামোগুণযুক্ত খাবার, আমাদের অজ্ঞতার দিকে নিয়ে যায় বলে কৃষ্ণ বলেন। বেদান্তের মতে, খাবারের পবিত্রতা আমাদের চিন্তা এবং গুণগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। তামাসিক খাবার গ্রহণ করা, অবিশ্বাস, অলসতা, এবং জ্ঞানহীনতা সৃষ্টি করে। আত্মা শুদ্ধির দিকে যেতে চাওয়া ব্যক্তিদের জন্য সত্ত্বিক খাবার গুরুত্বপূর্ণ। যা সত্য এবং যা মায়া তা আলাদা করতে এই ধরনের খাবার অভ্যাসগুলি এড়ানো উচিত। মানুষ যখন তাদের খাবার অভ্যাসে মনোযোগ দেয়, তখন তারা আধ্যাত্মিক উন্নতিতে অগ্রসর হতে পারে।
আজকের বিশ্বে, খাবার অভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ খাবার অভ্যাস শরীরের স্বাস্থ্য뿐 নয়, মনের স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। অশুদ্ধ খাবার গ্রহণ শরীরের ওজন বাড়াতে এবং খারাপ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। পরিবারের কল্যাণের জন্য, পুষ্টিকর, পবিত্র খাবার নির্বাচন করা উচিত। পেশা এবং কাজের জীবনে মানসিক চাপ মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্যকর খাবার অভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকদের শিশুদের জন্য ভালো খাবার অভ্যাস উৎসাহিত করা উচিত। সামাজিক মাধ্যমে খাবার সম্পর্কে ভুল তথ্যের উপর বিশ্বাস না করে, সত্যিকার চিকিৎসা পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত। ঋণের চাপ এবং অন্যান্য মানসিক চাপ মোকাবেলা করতে, মানসিক শান্তি এবং শরীরের স্বাস্থ্য উন্নত করার খাবার গ্রহণ করা উচিত। দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার দিকে এগিয়ে যেতে, খাবার অভ্যাসগুলি সঠিকভাবে গঠন করা উচিত।
ভগবৎ গীতা ব্যাখ্যাগুলি AI দ্বারা তৈরি; তাতে ত্রুটি থাকতে পারে।