যোগে স্থির হয়ে কাজ করা এবং কাজ না করে ছেড়ে দেওয়া আলাদা আলাদা বলে দুর্বল মানুষ বলে; জ্ঞানীরা তা বলেন না; এই দুইয়ের মধ্যে যেকোনো একটিতে সম্পূর্ণরূপে স্থির থাকা জ্ঞানীরা ফলপ্রসূ ফল পাবেন।
শ্লোক : 4 / 29
ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
♈
রাশি
মকর
✨
নক্ষত্র
উত্তরাষাঢ়া
🟣
গ্রহ
শনি
⚕️
জীবনের ক্ষেত্র
কর্মজীবন/পেশা, অর্থ/অর্থনীতি, স্বাস্থ্য
এই ভাগবত গীতা শ্লোক, মানব জীবনে সমতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরে। মকর রাশিতে জন্মগ্রহণকারীরা সাধারণত সন্ন্যাস এবং যোগে জড়িত থাকবেন। উত্তরাদ্রা নক্ষত্র, শনি গ্রহের অধীনে থাকাকালীন, পেশা এবং অর্থ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে চিন্তাভাবনার সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। পেশার উন্নয়নে শনি গ্রহের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ, তাই পরিকল্পিত প্রচেষ্টা সাফল্য আনবে। অর্থ ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দিয়ে, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়, যোগ এবং ধ্যানের মতো পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। এর ফলে মানসিক অবস্থা স্থির থাকবে। শনি গ্রহের আশীর্বাদে, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। এই শ্লোক, যোগে অথবা সন্ন্যাসে জড়িত হয়ে, জীবনের সকল ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে। এর ফলে, মানসিক শান্তি এবং আনন্দ পাওয়া সম্ভব।
এই শ্লোকটি ভগবান কৃষ্ণের অর্জুনকে দেওয়া উপদেশ। পৃথিবীজুড়ে দুইটি পথই আছে বলে অনেকেই মনে করেন - একটি যোগে জড়িত হয়ে কাজ করা, অন্যটি কাজ থেকে বিরত থাকা। এইভাবে কৃষ্ণ সত্যিকার জ্ঞানীরা যোগে অথবা সন্ন্যাসে সম্পূর্ণরূপে জড়িত থাকবেন বলছেন। এই দুটি একসাথে বা সমান নয়। জ্ঞানীরা যেকোনো পথ বেছে নিয়ে তাতে সম্পূর্ণরূপে জড়িত হলে ফল পাবেন। সেই পথে তারা তাদের মন এবং আগ্রহকে স্থির করবেন। এর মাধ্যমে তারা আনন্দ পাবেন।
পাঠকরা এই শ্লোকে দুই ধরনের পদ্ধতির বিষয়ে ধারণা পেতে পারেন। একটি যোগের পথে কাজ করার পদ্ধতি, অন্যটি কাজ থেকে বিরত থাকার পদ্ধতি। বেদান্তের ভিত্তিতে বললে, এই দুটি মূলত একই লক্ষ্যকে নির্দেশ করে। জ্ঞান অর্জনের জন্য সন্ন্যাসই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নয়, যোগের পথেও একই সময়ে অর্জন করা যায়। উভয় ক্ষেত্রেই একটি সাধারণ সত্য রয়েছে। সেই সত্যটি উপলব্ধি করে যোগে জড়িত হলে সন্ন্যাসের আলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থির হয়। এটি ভগবান কৃষ্ণ এই শ্লোকে বলছেন। যোগ এবং সন্ন্যাসের দার্শনিক সূক্ষ্মতা বুঝলে জীবন সহজ হয়ে যায়।
এই সময়ে, মানুষ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, তাই মানসিক শান্তির প্রয়োজন। পেশা, অর্থ, পরিবারে চাপ সামলাতে যোগের পথ অথবা সন্ন্যাসের পথ বেছে নেওয়া যেতে পারে। সন্ন্যাস মানে কাজ ত্যাগ করা নয়, বরং গভীর চিন্তাভাবনার সঙ্গে কাজ করা। দীর্ঘ জীবন পেতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অপরিহার্য। পিতামাতার দায়িত্ব, ঋণ এবং EMI ইত্যাদিতে মানসিক চাপ এড়াতে যোগের পথ সাহায্য করতে পারে। সামাজিক মিডিয়ায় সময় নষ্ট না করে, যোগব্যায়ামের মাধ্যমে মনে শান্তি আনতে হবে। এই শ্লোকের দার্শনিকতা আমাদের জীবনে সমতা প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করা উচিত। দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা নিয়ে কাজ করা সেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে আসে।
ভগবৎ গীতা ব্যাখ্যাগুলি AI দ্বারা তৈরি; তাতে ত্রুটি থাকতে পারে।