কিন্তু, আমার এই জ্ঞানকে ঈর্ষায় গ্রহণ না করা সমস্ত মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে, ধ্বংস হয়ে, অজ্ঞতায় ডুবে যায়।
শ্লোক : 32 / 43
ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
♈
রাশি
মকর
✨
নক্ষত্র
শ্রবণা
🟣
গ্রহ
শনি
⚕️
জীবনের ক্ষেত্র
কর্মজীবন/পেশা, অর্থ/অর্থনীতি, পরিবার
মকর রাশিতে জন্মগ্রহণকারীরা, থিরুভোণাম নক্ষত্রে শনি গ্রহের প্রভাবের কারণে, জীবনে স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য অধিক পরিশ্রম এবং ধৈর্য প্রয়োজন। ভাগবত গীতার 3:32 শ্লোকে ভগবান কৃষ্ণ যে জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন তা না বুঝে, অজ্ঞতায় ডুবে কাজ করা ব্যক্তিরা তাদের পেশা এবং আর্থিক অবস্থায় সমস্যার সম্মুখীন হবে। শনি গ্রহের প্রভাবের কারণে, পেশায় উন্নতি করতে আত্মবিশ্বাস এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য। একইভাবে, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ না দেওয়া ঋণের সমস্যা সৃষ্টি করবে। পরিবারে শান্তি বজায় রাখতে, বুদ্ধি এবং জ্ঞানকে গ্রহণ করে সম্পর্কগুলোকে রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে, পরিবার এবং আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। ভগবান কৃষ্ণের উপদেশ গ্রহণ করে, জীবনে জ্ঞানকে গাইড হিসেবে নিয়ে কাজ করা মকর রাশি এবং থিরুভোণাম নক্ষত্রের জন্য উপকারী হবে। এর ফলে, পেশা, অর্থ এবং পরিবারে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
এই শ্লোকে ভগবান কৃষ্ণ বলেছেন, যারা তাঁর জ্ঞানকে ভালোবাসেন না তারা অজ্ঞতার মধ্যে বসবাস করে ধ্বংস হয়ে যাবে। এর মানে হলো, ভগবান যে বুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানকে গ্রহণ করেন না, তারা জীবনে সমস্যার এবং দুঃখের সম্মুখীন হবে। জ্ঞানহীন জীবন সবসময় বিভ্রান্তির দ্বারা পূর্ণ থাকে। ভগবান যে জ্ঞানকে উল্লেখ করেন তা একটি গাইড হিসেবে কাজ করে এবং জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করলে, আমাদের অন্তর্দৃষ্টি আমাদেরকে সংকটে ফেলবে। এর ফলে, আমাদের কার্যকলাপ এবং সিদ্ধান্ত সবসময় ভুল হবে। জ্ঞানহীনভাবে কাজ করা অজ্ঞতাকে বাড়িয়ে তোলে, ফলে আমরা নিজেদের হারিয়ে ফেলি।
এই শ্লোকের দার্শনিক ভিত্তি হলো, জ্ঞান জীবনকে আলোকিত করে। ভগবান কৃষ্ণ এখানে বলছেন, যারা বুদ্ধি ও জ্ঞানকে গ্রহণ করেন না তাদের জীবনে সমতা নেই। বেদান্তের মতে, জ্ঞান ছাড়া জীবনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। জ্ঞান হল পরমানন্দের পথে। মায়া এবং তার ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে জ্ঞান অপরিহার্য। জ্ঞানহীনভাবে কাজ করা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যাত হওয়া উচিত। জ্ঞান আত্মার সত্যিকারের অবস্থান উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। অজ্ঞতা স্বার্থপর কর্ম তৈরি করে। এটি কর্মফল এবং তার ফলে সৃষ্ট বন্ধন তৈরি করে।
আজকের সমাজে ভগবান কৃষ্ণের এই উপদেশ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। অনেকেই তাদের জীবনকে লক্ষ্যহীনভাবে ব্যয় করছেন। এটি পরিবারে কল্যাণ, কর্মস্থলে সাফল্য, দীর্ঘায়ু ইত্যাদিতে ঘাটতি সৃষ্টি করে। বিশেষ করে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অপরিহার্য হয়ে উঠছে। পিতামাতার দায়িত্ব এবং ঋণ/EMI চাপের কারণে জীবনের সমস্যাগুলো বাড়ছে। সামাজিক মিডিয়ায় অতিরিক্ত জড়িত থাকার ফলে সময় নষ্ট হচ্ছে এবং মানসিক শান্তি নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা এবং পরিকল্পনা সবকিছুর ভিত্তি। জ্ঞান এবং বুদ্ধি ছাড়া সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। এটি আমাদের পরিবারের কল্যাণ এবং আমাদের ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য ক্ষতিকর হবে। দৈনন্দিন জীবনে বুদ্ধি এবং জ্ঞানকে গ্রহণ করার জন্য অনুশীলন করতে হবে। এভাবে করলে, আমাদের জীবন সুস্থ, সমৃদ্ধ এবং স্থিতিশীল হবে।
ভগবৎ গীতা ব্যাখ্যাগুলি AI দ্বারা তৈরি; তাতে ত্রুটি থাকতে পারে।