এখানে উপস্থিত রথগুলির মধ্যে বড় বড় সেনাপতিরা মনে করবেন যে তুমি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ভয় পেয়ে পালিয়ে গেছ; তাছাড়া, তোমার সম্পর্কে যারা মহান মূল্যায়ন করছিল, তাদের মধ্যে তুমি তোমার মূল্য হারিয়ে ফেলবে।
শ্লোক : 35 / 72
ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
♈
রাশি
সিংহ
✨
নক্ষত্র
মঘা
🟣
গ্রহ
সূর্য
⚕️
জীবনের ক্ষেত্র
কর্মজীবন/পেশা, ধর্ম/মূল্যবোধ, মানসিক অবস্থা
এই ভাগবত গীতা শ্লোকের মাধ্যমে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ অর্জুনকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে না গিয়ে সাহসীভাবে দাঁড়াতে নির্দেশ দেন। এটি জ্যোতিষের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, সিংহ রাশি এবং মঘা নক্ষত্র সূর্যের অধীনে রয়েছে। সূর্য সাহস, নেতৃত্ব এবং উচ্চ ধর্মকে প্রতিফলিত করে। পেশাগত জীবনে, একজনকে সাহসী এবং দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ধর্ম এবং মূল্যবোধ রক্ষা করার সময়, মানসিক অবস্থাকে দৃঢ় রাখতে হবে। মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলে, পেশায় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। সূর্য যে আলো দেয়, তা আমাদের মনে আলো জ্বালায়। এর ফলে, আমাদের মানসিক অবস্থাকে উন্নত করে এবং আমাদের মূল্যবোধ রক্ষা করার শক্তি প্রদান করে। ধর্ম এবং মূল্যবোধ রক্ষা করার সময়, মানসিক দৃঢ়তা এবং সাহস গুরুত্বপূর্ণ। পেশায় উন্নতি পেতে, সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া আবশ্যক। মানসিক অবস্থাকে স্থিতিশীল রেখে, উচ্চ ধর্মের সাথে কাজ করা জীবনে সাফল্য এনে দেয়। সূর্য যে শক্তি প্রদান করে, তা আমাদের মানসিক অবস্থাকে দৃঢ় রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে, আমাদের মূল্যবোধ এবং ধর্মকে রক্ষা করার শক্তি অর্জন করা সম্ভব।
এই শ্লোকে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেন, তুমি যদি যুদ্ধে থেকে ভয় পেয়ে পালিয়ে যাও, তাহলে যারা তোমাকে আগে সম্মান করতেন, তারা তোমার সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করবেন। তুমি যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করলে, তোমার সাহস এবং সম্মান হারিয়ে যাবে। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পিছিয়ে যাওয়া একজন যোদ্ধার জন্য ধ্বংস ডেকে আনে। তুমি দীর্ঘ সময় ধরে গড়ে তোলা তোমার মূল্য হারাতে পার। এই কারণে, এখানে বলা হয়েছে যে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে না গিয়ে লড়াই করতে হবে।
বেদান্তের ভিত্তিতে, মানব জীবনকে একটি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে দেখা হয়। এই মুহূর্তে উচ্চতর গুণাবলীর অনুসারে আমাদের কাজ করতে হবে। উদ্বেগ এবং ভয়কে অতিক্রম করে কাজ করা হল সত্যিকারের তপস্যা। একজনকে তার কর্মকে মানসিক দৃঢ়তার সাথে সম্পন্ন করতে হবে। আমাদের মূল্য অন্যদের জন্যই নয়, আমাদের নিজেদেরকেও মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ। ভয়ের মায়াকে পরিবর্তন করে সাহসী মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।
আজকের জীবনে, স্থিতিশীলতা অর্জন করতে হলে আমাদের ভয়কে অতিক্রম করে কাজ করতে হবে। পারিবারিক কল্যাণ, পেশাগত উন্নতি ইত্যাদিতে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের অর্থ এবং ঋণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে সাহসী হতে হবে। সামাজিক মিডিয়ায় নেতিবাচক মন্তব্যের বিরুদ্ধে মানসিক দৃঢ়তা গড়ে তুলতে হবে। স্বাস্থ্য এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘমেয়াদী চিন্তায় বিশ্বাস রাখা সাফল্যের পথপ্রদর্শক। আমাদের কর্মকাণ্ডে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করলে তবেই দীর্ঘায়ু এবং সম্পদ অর্জন সম্ভব। পিতামাতার তাদের দায়িত্ব অনুভব করে কাজ করা সন্তানদের জন্য একটি ভাল দিকনির্দেশক হবে। ভয়হীনভাবে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই আমরা সত্যিকারের সাফল্য অর্জন করতে পারি।
ভগবৎ গীতা ব্যাখ্যাগুলি AI দ্বারা তৈরি; তাতে ত্রুটি থাকতে পারে।