শ্লোক : 44 / 78

এই ভাগবত গীতা শ্লোকের ভিত্তিতে, রিশাব রাশিতে জন্মগ্রহণকারীরা তাদের স্বাভাবিক কাজগুলি চিহ্নিত করতে হবে। রোহিণী নক্ষত্রের অধীনে থাকা ব্যক্তিরা সুন্দর শিল্পে দক্ষ, এবং শুক্র গ্রহের প্রভাবের কারণে, তারা সংস্কৃতিতে সূক্ষ্মতা এবং নৈপুণ্য নিয়ে কাজ করবেন। পেশায়, তারা তাদের দক্ষতাগুলি সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করে উন্নতি করবেন। পরিবারে, তারা কল্যাণের জন্য কাজ করে সম্পর্কগুলি দৃঢ় করবেন। ধর্ম এবং মূল্যবোধকে সম্মান করে, তারা সমাজে ভালো নাম অর্জন করবেন। এভাবে, তারা তাদের স্বাভাবিক কাজগুলি সঠিকভাবে পালন করে সমাজ এবং নিজেদের জন্য উপকারে আসবে। ভগবান কৃষ্ণের উপদেশের ভিত্তিতে, তাদের ধর্ম জানার এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে, মানসিক সন্তুষ্টি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি অর্জন করতে সক্ষম হবে।

এই শ্লোকে, ভগবান কৃষ্ণ মানুষদের তাদের স্বাভাবিক কাজগুলি চিহ্নিত করার পদ্ধতি বর্ণনা করছেন। কৃষি, গবাদি পশু পালন এবং ব্যবসা করা বৈশ্যদের স্বাভাবিক কাজ। শূদ্রদের সেবা করার কাজগুলিতে নিযুক্ত হওয়া তাদের স্বভাব। এখানে, কৃষ্ণ সমাজে প্রত্যেকের জন্য তাদের স্বাভাবিক কাজগুলি করার গুরুত্ব তুলে ধরছেন। সামাজিক শৃঙ্খলা এবং ধর্ম সঠিকভাবে কার্যকর হতে, প্রত্যেককে তাদের কর্তব্যগুলি সঠিকভাবে পালন করতে হবে বলে তিনি বলেন। এর ফলে সমাজে ঐক্য এবং শান্তি বজায় থাকে।

এই বক্তব্যে, কৃষ্ণ ব্যক্তি সমাজে তার স্বাভাবিক ধর্মকে জানার এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার গুরুত্বকে জোর দিচ্ছেন। বেদান্ত সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ হতে, একজনকে তার স্বাভাবিক কাজগুলি পরিচালনা করতে হবে। গীতা ধর্মের মাধ্যমে জীবনের পূর্ণতা অর্জন করতে শেখায়। প্রতিটি জীব তার কর্তব্য জানার মাধ্যমে এবং তা পালন করার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নতি অর্জন করতে পারে। এর ফলে মানুষ পারস্পরিক কল্যাণে নিযুক্ত হয়ে সমাজের জন্য উপকারী কাজগুলিতে অংশগ্রহণ করবে। একইভাবে, জীবনকে সম্পূর্ণভাবে বাঁচতে, মানসিক চাপ ছাড়া, শান্ত মনে কাজ করতে হবে।

আজকের বিশ্বে, অনেকের জন্য তাদের স্বাভাবিক কাজগুলি কী তা নিয়ে বিভ্রান্তি থাকতে পারে। এই শ্লোকটি তাদের স্বাভাবিক দক্ষতা এবং আগ্রহগুলি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। পরিবারের কল্যাণের জন্য, প্রত্যেককে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কাজ করার নিশ্চয়তা দিতে হবে। পেশা বা অর্থ উপার্জনের জন্য, একজনের কর্তব্য এবং দক্ষতাগুলিকে বিকশিত করতে হবে। দীর্ঘায়ুর জন্য ভালো খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। অভিভাবকদের তাদের দায়িত্বগুলি কেবল অর্থের মাধ্যমে নয়, নৈতিক গুণাবলীর মাধ্যমে পূর্ণ করতে হবে। ঋণ বা EMI চাপ কমাতে, অর্থনৈতিক দায়িত্ব এবং ব্যয় পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। সামাজিক মিডিয়ায় সময় নষ্ট না করে, সময়কে উপকারী কাজে ব্যয় করতে হবে। স্বাস্থ্য, দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা, এবং সঠিক মানসিকতা গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মের প্রতি নিবিড় মনোভাব জীবনের সব ক্ষেত্রে উপকারে আসবে।