সৎ [সত্ত্বা] গুণযুক্ত ব্যক্তিরা দেবলোকের দেবতাদের পূজা করেন; মহা লোভী [রাজস] গুণযুক্ত ব্যক্তিরা যক্ষ ও রাক্ষসদের পূজা করেন; অজ্ঞতা [তামস] গুণযুক্ত ব্যক্তিরা মৃত আত্মাদের এবং অসংখ্য অসুরদের পূজা করেন।
শ্লোক : 4 / 28
ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
♈
রাশি
মকর
✨
নক্ষত্র
উত্তরাষাঢ়া
🟣
গ্রহ
শনি
⚕️
জীবনের ক্ষেত্র
কর্মজীবন/পেশা, পরিবার, স্বাস্থ্য
এই ভাগবত গীতা শ্লোকের ভিত্তিতে, মকর রাশি এবং উত্তরাষা নক্ষত্রযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য শনি গ্রহের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। শনি গ্রহ সত্ত্ব গুণ বাড়াতে সাহায্য করে, যা মনে শান্তি সৃষ্টি করে। পেশাগত জীবনে, সত্ত্ব গুণযুক্ত ব্যক্তিরা দেবীয় শক্তিগুলোর পূজা করে মনে স্পষ্টতা এবং শৃঙ্খলা পেতে পারেন। পরিবারের মধ্যে, শনি গ্রহের প্রভাবের কারণে দায়িত্ব এবং শৃঙ্খলা গুরুত্বপূর্ণ হবে। স্বাস্থ্য, সত্ত্ব গুণযুক্ত খাদ্যাভ্যাস শরীরের সুস্থতা উন্নত করে। মকর রাশি এবং উত্তরাষা নক্ষত্রযুক্ত ব্যক্তিরা তামস গুণ কমিয়ে, সত্ত্ব এবং রাজসকে সমানভাবে বজায় রেখে জীবনে ভারসাম্য অর্জন করতে পারেন। শনি গ্রহ তাদের দীর্ঘায়ু এবং মানসিক অবস্থায় কল্যাণ প্রদান করবে। এভাবে, ভাগবত গীতার উপদেশের ভিত্তিতে, শনি গ্রহের নির্দেশনার মাধ্যমে তারা জীবনে অগ্রগতি করতে সক্ষম হবে।
এই শ্লোকটি ভগবান শ্রী কৃষ্ণ তিন ধরনের গুণ সম্পর্কে বলছেন। সত্ত্ব গুণযুক্ত ব্যক্তিরা দেবতাদের পূজা করেন, তাই তাদের মনে শান্তি থাকে। রাজস গুণযুক্ত ব্যক্তিরা মহা লোভী, শক্তি ও সম্পদের জন্য যক্ষ ও রাক্ষসদের পূজা করেন। তামস গুণযুক্ত ব্যক্তিরা অজ্ঞতায় ডুবে থাকেন; তারা মৃত আত্মাদের বা অসুরদের পূজা করেন। এভাবে, একজনের বিশ্বাস তাদের গুণের উপর নির্ভর করে, এটি এখানে কৃষ্ণ ব্যাখ্যা করছেন।
এই শ্লোকটি আমাদের বিশ্বাস এবং গুণের মধ্যে সম্পর্ক বোঝায়। বেদান্ত বলে যে একজনের অন্তর্নিহিত গুণগুলোকে জানিয়ে, সেগুলোকে উচ্চতর স্তরে নিয়ে যেতে হবে। সত্ত্ব, রাজস, এবং তামস এই তিনটি গুণ মানব মনে তিনটি মৌলিক উপাদান। আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য, একজনকে সত্ত্ব গুণ বাড়াতে হবে। এটি মনে বিশুদ্ধতা, স্পষ্ট চিন্তা, এবং জীবনের মহত্ত্ব উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। বেদান্তের ভিত্তিতে, এই তিনটি গুণই বিশ্বসংক্রান্ত, কিন্তু পদ থেকে সত্ত্বকে বাড়ানোই আধ্যাত্মিকতার মূল লক্ষ্য।
আজকের জীবনে এই শ্লোকের গুরুত্ব অনেক। আমাদের জীবনের সব দিকের জন্য আমাদের মনে থাকা গুণগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা এটি বোঝায়। পরিবারের মধ্যে ভারসাম্য এবং শান্তি বজায় রাখতে সত্ত্ব গুণ গুরুত্বপূর্ণ। পেশা এবং কাজে সফল হতে রাজস গুণ প্রয়োজন, কিন্তু এর সাথে সত্ত্ব মিশ্রিত হলে কল্যাণ আসে। দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু অর্জনের জন্য আমাদের খাদ্যাভ্যাসকে সত্ত্বময় করতে হবে। পিতামাতা হিসেবে দায়িত্বশীল থাকা এবং ঋণের চাপ ছাড়া জীবনযাপন করার জন্য সঠিক পরিকল্পনা অপরিহার্য। সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করার সময়, সেখানে রত্ন খুঁজে বের করা এবং নিজেদের উন্নত করা ভালো। এর ফলে, স্বাস্থ্য, দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনায় ভালো অগ্রগতি পাওয়া সম্ভব। তামস গুণ কমিয়ে, সত্ত্ব এবং রাজসকে সমানভাবে বজায় রাখা জীবনযাত্রায় ভারসাম্য অর্জনে সাহায্য করবে।
ভগবৎ গীতা ব্যাখ্যাগুলি AI দ্বারা তৈরি; তাতে ত্রুটি থাকতে পারে।