নিশ্চয়ই, একটি মুহূর্তের জন্যও কিছু না করে কেউ থাকতে পারে না; একজনের স্বভাবের অন্তর্নিহিত গুণাবলী কোন সাহায্য ছাড়াই অবশ্যই তার সমস্ত কাজ করতে বাধ্য করে।
শ্লোক : 5 / 43
ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
♈
রাশি
মকর
✨
নক্ষত্র
উত্তরাষাঢ়া
🟣
গ্রহ
শনি
⚕️
জীবনের ক্ষেত্র
কর্মজীবন/পেশা, পরিবার, স্বাস্থ্য
এই ভাগবত গীতা শ্লোকে, ভগবান কৃষ্ণ কর্মের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করছেন। মকর রাশি এবং উত্রাদ্রা নক্ষত্রধারীরা, শনি গ্রহের প্রভাবের অধীনে, তাদের জীবনে কর্মে খুব মনোযোগ দেবেন। পেশাগত জীবনে, তারা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এগিয়ে যাবেন, এবং তাদের প্রচেষ্টা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পরিবারে, তারা তাদের দায়িত্ব বুঝে, সম্পর্ক রক্ষা করতে বেশি মনোযোগ দেবেন। স্বাস্থ্য, শনি গ্রহের প্রভাবে, তারা শারীরিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চা অনুসরণ করবেন। প্রকৃতির গুণাবলী বুঝে, সেই অনুযায়ী কাজ করে, তারা জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হতে পারবেন। কর্মের প্রয়োজনীয়তা বুঝে, এতে অattachment ছাড়া কাজ করে, তারা জীবনে মানসিক শান্তি অর্জন করতে পারবেন। এইভাবে, জ্যোতিষ এবং ভাগবত গীতার শিক্ষা একত্রিত হয়ে, মকর রাশি এবং উত্রাদ্রা নক্ষত্রধারীদের জীবনে পথপ্রদর্শক হবে।
এই শ্লোকে, ভগবান কৃষ্ণ কর্মের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করছেন। মানুষ একটি মুহূর্তের জন্যও কিছু না করে থাকতে পারে না বলে তিনি বলছেন। স্বভাবের গুণাবলী মানুষকে ক্রমাগত পরিচালনা করে। অনেকেই তাদের স্বভাবের ভিত্তিতে কাজ করেন। এগুলি আমাদের কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। শ্লোকটি আমাদের স্বভাব বুঝে সেই অনুযায়ী কাজ করতে বলে। কাজ করা এড়ানো সম্ভব নয়, এটি আমাদের গ্রহণ করতে হবে।
এই শ্লোকটি বেদান্ত দর্শনের ভিত্তিতে, মানুষ তার গুণাবলীর ভিত্তিতে কাজ করা থেকে মুক্ত নয় তা ব্যাখ্যা করে। প্রকৃতি মানুষকে প্রতিটি কোষে পরিচালনা করে। মায়ার প্রভাবের কারণে মানুষ বাধ্য হয়ে কাজ করে। এখানে 'কর্ম' হল জীবনের মৌলিক উপাদান। কর্ম এবং এর ফলাফল বুঝে সেখান থেকে মুক্তি পাওয়াই জীবনের উদ্দেশ্য। এই প্রেক্ষাপটে কৃষ্ণ কর্মযোগের ধারণা বোঝাতে চান। কর্মের ফলাফলে অattachment ছাড়া কাজ করতে বলেন। এটি তার প্রকৃত স্বভাব এবং গুণাবলী বুঝে নেওয়ার জন্য একটি নির্দেশিকা।
আজকের বিশ্বে, কর্মজীবন আমাদের সকলের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পারিবারিক কল্যাণে, পিতামাতা তাদের সন্তানদের বড় করা, তাদের শিক্ষা এবং সুস্থতা উন্নত করার মাধ্যমে, কর্মহীন না থেকে কাজ করেন। ব্যবসায়, একজনের সিদ্ধান্ত এবং কর্ম প্রতিষ্ঠানটির উন্নতির জন্য সহায়ক হয়। অর্থ উপার্জনে, ঋণ এবং EMI-এর সুবিধাভোগীরা প্রায়ই কর্মক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন অনুভব করেন। সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে, আমরা সবসময় কর্মে থাকি, তথ্য শেয়ার করার অভ্যাস রয়েছে। স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ুর জন্য, শরীরচর্চা এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা প্রয়োজন। এগুলি সবই আজকের জীবনে কর্মের প্রয়োজনীয়তা বোঝায়। অতীতের তুলনায় আজকের সময়ে কর্মের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে। আমাদের স্বভাব বুঝে কাজ করা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
ভগবৎ গীতা ব্যাখ্যাগুলি AI দ্বারা তৈরি; তাতে ত্রুটি থাকতে পারে।